⏬সম্পূর্ণ গল্পটি পড়তে নিচের দিকে টান দিন👇

মাদ্রাসায় পড়ুয়া বোন ✅

 

আমরা গ্রাম থেকে শহরে চলে আসি প্রায় ১৫ বছর আগে। আমাদের আব্বা একটি ব্যাংকে চাকরী করতেন। আমি দাখিল পাস করে কলেজে ভর্তি হই, এরপর কলেজ থেকে ভাল রেজাল্ট করি।






কলেজে পড়ার সময় আসলে একরকম একটা সমস্যাই ভুগি তা হলো কলেজে মাদ্রাসার ছাত্রদের অনেকটা হেলা করে সবাই। স্কুলের ছাত্র রা মনে করে মাদ্রাসার পরীক্ষা অনেক সোজা, মাদ্রাসা বোর্ড যাকে তাকে নাম্বার দিয়ে দেয়। তাদের ধারনা আমরা যারা মাদ্রাসায় পড়ি তারা স্কুলের ছেলেদের সাথে পড়ালেখায় পারবোনা, মাদ্রাসার ছেলেরা বলদ টাইপের হয়। এমন সব ধারনা পোষন করে অনেক ছাত্র এবং শিক্ষক রাও। যারা মাদ্রাসা হতে কলেজে গিয়েছে তারা হয়তো আমার কথা গুলোর সাথে একমত হতে পারবে।




যাইহোক কলেজ শেষ করে ভার্সিটি তে ভর্তি হই। আমি যে ভার্সিটি তে পড়েছিলাম সেটি তখন নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয়। অবশ্য ভার্সিটিতে এসে বেশ ভাল কজন বন্ধু পেয়েছি। ভার্সিটি থেকে আমার বাসার দূরত্ব বলতে গেলে তেমন বেশী না, বাসে করে বড়জোড় দেড় দুই ঘন্টার রাস্তা কিন্তুু আমি বছরে দু এক বারের বেশী বাসায় যাই না। কেননা টিউশন ফেলে কোথাও যাওয়ার সেই সুযোগ টা নেই। আমি অবশ্য টিউশনি করে ভাল টাকা ইনকাম করেছি সেই সময় টাতে। আমি ভার্সিটি ভর্তি হওয়ার কয়েক মাস পর থেকেই বাড়ি থেকে আর টাকা পাঠাতে হয়নি, আমার সব খরচ আমার ইনকাম দিয়ে হয়ে যেতো এবং আরো টাকা সঞ্চয় করেছি।




এবার মূল কাহিনী টা শুরু করি, আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আমার নাম টা বলা হয়নি, আমি ফয়সাল। আমার পরিবারে সদস্য সংখ্যা চারজন। আব্বা, আম্মা আর আমার ছোট বোন ফারজানা।




ফারজানা এবার দাখিল (এসএসসি) পাস করে মহিলা মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে। আম্মা চেয়েছিলো ফারজানা কেও আমার মতো কলেজে ভর্তি করাতে কিন্তুু আব্বার কথা ফারজানা কে মাদ্রাসাতেই পড়াবে। আব্বার মতামত হলো তার মেয়ে কলেজে গেলে অন্য ছেলেমেয়ে দের সাথে মিশে উঠতে পারবেনা। কলেজে মেয়েদের জন্য তেমন সুবিধা নেই এবং কলেজের ছেলেরা নাকি অভদ্র হয়, তাই ফারজানা কে মাদ্রাসা তে ভর্তি করা হলো।




আসলে আমিও মনে করি ফারজানা কলেজে ছেলেমেয়ে দের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেনা, কারন ফারজানা অন্য দশজন মেয়ের মতো অত চালাক চতুর নয়। সে অসম্ভব সুন্দরী, শান্ত এবং একদম চুপচাপ স্বভাবের মেয়ে তাই তার জন্য মাদ্রাসাই ভালো।




সেইবার ঈদে আমি বাসায় গেলাম যথারীতি অনেক দিন পর। ২০ রোজাতে আমি বাসায় গিয়ে পৌঁছাই অনেক টা আম্মার অনুরোধে। বাসায় গিয়ে দেখি আব্বার হার্টের সমস্যা টা আবার বেড়ে গেছে, পাঁচ মাস আগে আব্বা আম্মা ইন্ডিয়া থেকে চিকিৎসা করে এসেছে তখন ডাক্তার বলেছিলো তিন মাস পর আবার গিয়ে চেকআপ করিয়ে আসতে কিন্তুু আব্বার দাবী তিনি সুস্থ হয়ে গেছেন তার আর ইন্ডিয়া যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তুু হঠাৎ করে রোজার সপ্তাহ খানেক পর থেকে নাকি হার্টের সমস্যা টা অনেক বেড়ে গেছে। আর এই কথাটা নাকি আব্বা আম্মাকেও বলেন নি!




অতএব আবারো আমি সব কিছু তাড়াতাড়ি ম্যানেজ করা শুরু করে আব্বাকে ইন্ডিয়া পাঠানোর ব্যবস্থা করলাম। এবার আম্মা আব্বার সাথে আমাদের ফুপা ফুফি দুজনই নাকি ডাক্তার দেখাতে যেতে চাচ্ছে। ফুফির শ্বাস কষ্টের সমস্যা, তিনিও যাবেন। তাদের দুজনের ডকুমেন্টস সব জোগাড় করে সব কিছু ম্যানেজ করলাম, কেননা দুদিন পরেই সব ঈদের ছুটিতে বন্ধ হয়ে যাবে। সব কিছু রেডি করার পর আব্বাদের যাওয়ার তারিখ ফিক্সড হলো ঈদের পাঁচদিন পরে। অর্থাৎ ঈদের ছয়তম দিনে আব্বারা ইন্ডিয়ার উদ্দেশ্য রওনা দিবেন।




দেখতে দেখতে ঈদের দিন চলে এলো। ঈদের নামাজ পড়ে বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করে আমি গেলাম ফুফুদের বাড়ীতে। ফুফুদের সব ডকুমেন্টস বুঝিয়ে দিয়ে পরদিন চলে আসলাম।




বাসায় ফিরে দেখি ফারজানার এক বান্ধবী বেড়াতে এসেছে। একটু পরে দেখি সে ফারজানা কে তাদের বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আম্মাকে অনুরোধ করছে কিন্তুু আম্মা কোনো ভাবেই ফারজানা কে যেতে দিবেনা।




কিছুক্ষন পর দেখি ফারজানার বান্ধবী খুব জোড়াজুড়ি করে আম্মাকে রাজী করিয়েছে। আম্মা বলেছে ফারজানা কে তাড়াতাড়ি চলে আসতে। ফারজানা তার বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে যাওয়ার ঘন্টা খানেক পর আম্মা আমাকে তার বান্ধবীর বাসায় গিয়ে ফারজানা কে নিয়ে আসতে বলছে।




আমি আম্মাকে বললাম সে বেড়াতে যখন গেছে তো কিছুক্ষন সেখানে বেড়াক। আম্মার কথা মেয়েদের বেশী বেড়াতে হয় না। আমি এরপর ফারজানা কে আনতে তার বান্ধবীর বাসায় গেলাম।




ফারজানার বান্ধবীর বাসা বলতে গেলে বেশ দূর আছে, ফারজানা একা আসতে পারতোনা। আমি সেখানে গেলাম আর তারপর ফারজানা কে সেখান থেকে নিয়ে বাসায় ফেরার জন্য রিকশাতে উঠতেই দেখি ফারজানা কোনো কথা বলছেনা, একদম রাগ করে আছে। আমি কারন জিজ্ঞাসা করায় সে বললো সে নাকি মেয়ে হয়ে অপরাধ করেছে। আম্মা আব্বা তাকে কোথাও যেতে দেয় না, এমন কি মাদ্রাসা থেকে আম্মা আনা নেওয়া করে। তার বান্ধবীরা নাকি এর জন্য হাসাহাসি করে। ওর বান্ধবীদের নাকি মোবাইল আছে, আর ফারজানা কে নাকি মোবাইল ধরতেই দেয় না। এটা সত্যি আম্মা আব্বা ফারজানাকে খুব চাপে রাখে। আম্মা আব্বার কথা হলো তাদের এখানে কোনো আত্বীয় স্বজন নাই, মেয়ে যদি কোনো বিপদ করে ফেলে তখন সামলানোর মতো কেউ থাকবেনা।




ফারজানার সাথে রিকশা করে কথা বলে বলে আসছি, কিন্তুু রাস্তাঘাট খুব খারাপ, রিকশা টা একটু পরপর গর্তে পড়ছিলো আর আমরা দুজন বারবার ধাক্কা খাচ্ছিলাম। ফারজানা বোরখা হিজাব পরা আছে। একসময় আমি খেয়াল করলাম যে ফারজানার দু*ধ আমার কনুইতে হালকা ধাক্কা খাচ্ছে। আমি এটা বুঝতে পেরে হাত টা সরিয়ে নিই।




আমাদের এখানে একটা পার্কের মতো আছে, সেখানে চটপটি ফুচকা বিক্রি হচ্ছিলো। ফারজানা ফুচকা খাওয়ানোর জন্য অনুরোধ করলে তাকে ফুচকা খাওয়াতে নিয়ে গেলাম। দুজনে ফুচকা খেলাম। পাশেই নাগরদোলা ছিলো, ফারজানা আমাকে জোর করে নাগরদোলায় তুললো। ভাইবোন দুজনে উঠে গেলাম নাগরদোলাতে, এই নাগরদোলা টা ইলেক্ট্রিকের, খাঁচার মতো বক্সের ভিতরে চেয়ার গুলা তাই এগুলা খুব জোড়ে চলে। আমি আগে কখনো চড়িনি, আমারও ভয় লাগছিলো, ফারজানা দেখি দুই চোখ বন্ধ করে আমার বাম হাত টা চেপে ধরে মুখ নিচু করে বসে আছে আর আমার হাত টা তার দু*ধের সাথে চেপে আছে।




আমি বুঝতে পারলাম যে ফারজানার দু*ধগুলো তেমন ছোট নয়, ফারজানা বোরখা পর্দা করে বলে বুঝা যায় না।




নাগরদোলা থেকে নেমে আবার রিকশা নিয়ে বাসায় চলে এলাম। ফারজানা দেখি অনেক খুশী কিন্তুু তার অনুরোধ আম্মাকে যাতে না বলি কারন আম্মা যদি জানে সে বাইরে ঘুরছে তাকে বকা দিবে, আর আব্বা কে বললে আব্বা রাগ করবে।




যথারীতি ঈদের দ্বিতীয় দিন টা শেষ।




রাতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমানোর আগে বাথরুমে গেলাম, বাথরুমের স্ট্যান্ডে দেখি ফারজানার আজকের বোরখা জামা কাপড় সব রাখা। আমার মাথায় শয়তানি বুদ্ধি আসলো। আমি কি ভেবে যেনো ফারজানার জামা কাপড় সব নেড়েচেড়ে দেখি তার মধ্যে একটা কালো ব্রা*। ব্রা* টা যে হালকা ঘামে ভেজা তা বুঝতে পারছি। সেটা হাতে নিয়ে ভাবলাম যে এই ব্রা* টা পরে ফারজানা আজ সারাদিন ঘুরেছে। এদিকে আমার ধ*ন মহাশয় দেখি দাঁড়িয়ে গেছে। ব্রা* টা ধ*নে লাগিয়ে আমি খেঁচা শুরু করে দিলাম।




কতক্ষন খেঁচার পর মা*ল আউট করে সব কিছু আবার আগের মতো করে রেখে রুমে এসে শুয়ে পরলাম।




তখন আমার শুধু ফারজানার কথা মনে পড়ছিলো। ফারজানার বয়স ১*৭ বছরের মতো হবে, এবার মাত্র দাখিল (এসএসসি) শেষ করেছে। ফারজানার গায়ের রং ফর্সা, গোলগাল মুখ, উচ্চতা পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি মতো হবে।




ফারজানার ফিগার আগে কখনো ভালো ভাবে দেখা হয়নি, তবে ফারজানার দু*ধের সাইজ ৩২ হবে, বোরখা পরে বলে বুঝা যায় না। ফারজানার গায়ের রঙ যেমন ফর্সা, তেমনি ওর মুখটাও ভীষন মায়াবী, সে ঘরের সব কাজ একা করে।




এসব ভাবতে ভাবতে আমি সেদিনের মতো ঘুমিয়ে পড়লাম।




পরদিন ঘুম থেকে আম্মা ডেকে দিলো, আর কিছু টিফিন বক্স ধরিয়ে দিয়ে ফুপুর বাসায় পাঠিয়ে দিলো। কথা হলো আসার সময় ফুপা ফুপি দুজন কে নিয়ে আসবো।




দেখতে দেখতে আব্বাদের ইন্ডিয়া যাওয়ার সময় ঘনিয়ে আসছে, আবার আমারও ভার্সিটি খুলবে কদিন পরে।




ফুপা ফুপি কে পরদিন নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।




এখন যেহেতু তাদের ইন্ডিয়া থেকে ফিরতে মিনিমাম পনেরো/ বিশ দিন লাগবে, আমারো ভার্সিটি চলে যেতে হবে। এখন ফারজানা কে কোথায় পাঠাবে আম্মারা তা নিয়ে চিন্তা করতে লাগলো। গতবার ফুপাতো বোনের বাসায় রেখে গেছিলো ফারজানা কে তাই এবারো তাকে সেখানে পাঠিয়ে দিবে।




দুদিন পরেই আব্বাদের ইন্ডিয়া যাওয়ার সময় হয়ে গেলো। সকালে কাউন্টারে গিয়ে আমি আর ফারজানা তাদের বিদায় দিয়ে আসলাম।বাবা-মা দের গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে আমরা ভাই-বোন বাসায় ফিরলাম, পরদিন আবার ফারজানা কে ফুপাতো বোনের বাড়ীতে পৌঁছিয়ে দিতে হবে।




বাসায় এসে ফারজানা রান্না করে খেতে দিলো তারপর খেয়ে ঘুমাতে গেলাম। ফারজানা কে ব্যাগ গুছিয়ে রাখতে বলেছি।




পরদিন সকালে ফারজানা কে নিয়ে ফুপাতো বোনের বাড়ীতে যাওয়ার জন্য গাড়ীতে উঠি। ফুপাতো বোনের বাড়ী আমাদের বাসা থেকে দূরেই বলা যায়। দু তিন ঘন্টা লাগে যেতে। ফুপাতো বোনের বাড়ী যেতে ছোট একটা নদী পার হতে হয়। আমি চাইছিলাম ফুপাতো বোন কে নিতে আসতে বলবো। আপা কে কল দেওয়ার পর আপা বললো তারা নাকি বাড়ীতে কেউ নেই সবাই ঈদের ছুটিতে বেড়াতে গেছে কোনো একটা জায়গায়। আর ফারজানা যে আজ আসবে সেটা নাকি আপাকে কেউ জানায় নাই!




কি আর করার ফারজানা কে নিয়ে আবার বাস কাউন্টারে চলে আসলাম। টিকেট করতে যাওয়ার সময় খেয়াল করলাম ফারজানার ব্যাগ নেই। ফারজানা কে জিজ্ঞাসা করতেই সে দেখি হতবাক হয়ে গেছে। ফারজানা বলছে ব্যাগ টা একটু আগেও সে এখানে দেখেছিলো, এখন আর নাই। অনেক খুঁজে দেখলাম কোথাও পেলাম না। ফারজানা দেখি একদম মন খারাপ করে বসে আছে।




আমি ফারজানার মন খারাপ দেখে বললাম- কিরে মন খারাপ করে বসে থাকলে হবে?




ফারজানা বলল- ভাইয়া ব্যাগ যে হারাইছি সেটার জন্য আম্মা তো বকা দিবে আর এখন আমি কি করবো?




আমি বললাম- আরে বোকা মেয়ে মন খারাপ করে কি লাভ!




আমা মাথায় একটা বুদ্ধি আসলো, আমি ফারজানা কে বললাম- এই বোন একটা কাজ করা যায় কিন্তুু!




ফারজানা মাথা নেড়ে জানতে চাইলো কি কাজ?




আমি বললাম- বোন তুই তো কোথাও বেড়াতে যেতে পারিস না, যাবি নাকি একটা জায়গায় বেড়াতে?




ফারজানা বলল- কোথায়?




আমি বললাম- এখান থেকে কিছু দূর গেলেই একটা জায়গা আছে পার্বত্য এলাকা, সেটা কাছেই।




ফারজানা বলল- ভাইয়া প্রথমত আমার কোনো কাপড় চোপড় নেই আর অন্য কোথাও বেড়াতে গেছি এটা যদি আম্মা জানতে পারে তাইলে কিন্তুু আমাকে বকা দিবে!




আমি বললাম- আরে দুদিন থেকেই চলে আসা যাবে, আম্মা জানবে কেনো? আর তুই যদি না যেতে চাস তাহলে বাদ দে, চল বাসায় ফিরে যাই।




একটু পর দেখি ফারজানা বলল- না ভাইয়া বাসায় না, চল সেখানে বেড়াতে চলে যাই কিন্তুু আমি কি শুধু এই বোরখা টা আর এক জামা পড়ে যেতে পারবো?




আসলে তাইতো, পরে আমি বলি- চল বোন তোকে আগে কিছু জামা কাপড় কিনে দিই।




ঈদের বন্ধ তাই দোকান পাট তেমন খোলা নেই। একটা দোকানে ঢুকে ফারজানা দু তিন টা জামা কিনলো আর দোকানের ছেলেটা একটা শাড়ী বের করে আমাকে দেখিয়ে বললো- ভাই এই শাড়ীটা ভাবী কে খুব মানাবে, দাম কম রাখবো।




ফারজানা কে বলল- ভাবী শাড়ী টা নেন ভালো লাগবে আপনাকে।




এদিকে ভাবী ডাক শুনে ফারজানা লজ্জায় চুপ করে আছে।




দোকানদার আবার বলে- ভাই নিয়ে নেন।




এই বলে জোড় করে শাড়ী টাও দিয়ে দিলো।




ফারজানা চুপি চুপি আমাকে বলল- ভাইয়া আমি শাড়ী পরবো কেমনে?




আমি বললাম- কেনো শাড়ী পড়তে পারিস না নাকি?




ফারজানা বলল- ভাইয়া শাড়ী পড়ার জন্য অনেক কিছু লাগে এসব তো আমার এখন নাই!




আমি বললাম- সমস্যা নাই কিনে নে।




ফারজানা বলল- এসব এই দোকানে পাওয়া যাবেনা।




তারপর ফারজানা দোকানদার কে বললো সব প্যাকেট করে রাখতে আর ফারজানা পাশে অন্য একটা দোকানে গেলো, আমি অবশ্য কাপড়ের দোকানেই বসে ছিলাম।




ফারজানা পাশের দোকান থেকে অনেক কিছু কিনে বের হয়ে আসলো তারপর কাপড়ের দোকান থেকে কাপড়ের ব্যাগ গুলো নিয়ে আমরা দুজন আবার কাউন্টারে চলে গেলাম।




এসব করতে করতে প্রায় দুপুর শেষ হয়ে গেলো। আমি আর ফারজানা কিছু হালকা নাস্তা করে তারপর পার্বত্য এলাকার বাস ধরে রওনা দিলাম। সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসছিলো হঠাৎ দেখি এক জায়গায় গাড়ী থেমে গেলো।




গাড়ীতে কয়েকজন পুলিশ উঠে গাড়ী চেক করা শুরু করলো। একটু পর আমাদের কাছে এসে বলে গাড়ী থেকে নামতে।




আমাদের সাথে আরো একটা কাপল কে বললো নেমে চেক পোষ্টের ভিতর ঢুকতে। সত্যি বলতে তখন আমি ভয় পেয়ে গেছি, ফারজানাও দেখি ভয়ে চুপষে গেছে। চেকপোষ্টে ঢুকার পর প্রথমে অন্য কাপল টাকে জিজ্ঞাসা করা শুরু করলো। তারা কি বিবাহিত কিনা, তাদের পরিচয় পত্র আছে কিনা এসব জানতে চাইলো। লোকটা তাদের পরিচয় পত্র দেখালে তাদের গাড়ীতে উঠে যেতে বললো।




তারপর আমাদের কাছে পরিচয় পত্র দেখতে চাইলো।পুলিশ আমাদের কাছে পরিচয় পত্র দেখতে চাইলো, তারপর আমাকে এসে জিজ্ঞাসা করা শুরু করলো আমরা বিবাহিত কিনা, আমাদের পরিচয় পত্র দেখাতে বললো কিন্তুু আমার এবং ফারজানার কারো পরিচয় পত্র নেই। আমি তখন পুরোপুরি নার্ভাস হয়ে গেছি। ফারজানা যে আমার বোন সেটাও বলা যাচ্ছে না কেননা তখন আরো ঝামেলা করবে এই নিয়ে যে ভাই-বোন একা কেনো এখানে বেড়াতে আসছে তা নিয়ে।




আমি বললাম- আমাদের পরিচয় পত্র আনতে মনে নেই।




অফিসার টা আমাকে ধমক দিয়ে একটা খারাপ কথা বলল- মেয়ে নিয়ে মজা করতে আসছস এখানে?




এই বলে সে ফারজানা কে হিজাব খুলতে বললো। আর বয়স্ক একজন পুলিশ ব্যাগ চেক করা শুরু করলো। ফারজানা হিজাব খুলার পর অফিসার দেখলো ফারজানা কান্না করছে। সাথে সাথে অন্যজন যে ব্যাগ চেক করছিলো সে বলে উঠলো স্যার এরা ঠিক আছে, নতুন বিয়ে করছে হয়তো স্যার, এদের যেতে দেন।




এরপর সে হেসে আমাকে বলল- ভাই নতুন বিয়ে করছেন সেটা বললে তো হয়ে যেতো এতো কথা বলতে হতো না। বিয়ে করছেন সেটা বলতে এতো লজ্জা পেলে তো আর হয় না। গাড়ীতে উঠে যান কিছু মনে করবেন না এটাই আমাদের কাজ।




ফারজানা তখনো ফুপিয়ে কাঁদছিলো সে অনেক ভয় পেয়ে গেছে কারন ফারজানা প্রথম বার এমন পরিস্থিতিতে পড়ছে আর সে অনেক শান্ত স্বভাবের মেয়ে তাই হয়তো ভয়টা বেশী পেয়েছে।




গাড়ীতে উঠার সময় অন্য যে কাপল টা আমাদের সাথে নামছিলো সে লোকটা আমাকে ডেকে বলল- ভাই আপনি কি আগে এসব জায়গাতে বেড়াতে আসেন নাই?




আমি বললাম- না ভাই, প্রথমবার যাচ্ছি।




তখন লোকটা বলল- শুনেন এইসব জায়গায় বেড়াতে আসলে সাথে বোরখা, নে*কাব পড়া মহিলা থাকলে এরা বেশী সন্দেহ করে এরা বোরখা পড়া মহিলাদের বেশী চেক করে। কারন এই রোড গুলা দিয়ে অবৈধ জিনিষ পাচার হয় আর কাপল দেখলে বেশী সন্দেহ করে কারন উঠতি ছেলেরা মেয়ে নিয়ে ঘুরতে চলে আসে তাই।




আমি চিন্তা করে দেখলাম ব্যাপার টা আসলেই সত্যি।




এরপর গাড়ীতে উঠতেই ফারজানা আমাকে বলতে শুরু করল- ভাইয়া তুমি বললে না কেনো আমরা ভাইবোন, আমরা বিবাহিত হবো কেনো? তুমি চুপ করে ছিলে কেনো?




তখন আমি ফারজানা কে বললাম- যদি তাদের বলতাম যে আমরা ভাইবোন তখন অবস্থা টা কি হতো ভেবে দেখেছিস? তারা বলতো ভাইবোন এক সাথে কেনো আসছি! কতো ঝামেলা হতো বুঝতে পারছিস? একেতো এইটা পার্বত্য এলাকা!




তখন ফারজানা বলল- হ্যাঁ সেটা ঠিক বলেছো।




আমরা কিছুক্ষণ পরেই পৌঁছে গেলাম। গাড়ী থেকে নামার পর সন্ধ্যা হয়ে গেছে, এখন হোটেল খুঁজতে হবে। একটা হোটেলে গেলাম তারা বললো কাপল দের পরিচয় দিতে হবে নয়তো রুম দেয়া যাবে না। এদিকে ফারজানা বলে দুই রুমের হোটেল নিতে কিন্তুু কাপল দের হোটেল এক রুম দেয়।




ফারজানা কে বললাম- বোন এখানে বিবাহিতদের রুম দিবে, তাও পরিচয় পত্র দিতে হবে।




ফারজানা তখন বলে- এখন কি হবে আমরা তো আর কাপল নই!




এরপর দুয়েক টা হোটেল দেখলাম সব গুলো এক কথা বলে।




তারপর ফারজানা হেসে বলল- ভাইয়া দোকানদার থেকে চেকপোষ্ট সবখানে তো আমাদের বিবাহিত মনে করছে, এখানেও না হয় বিবাহিত বলে অন্তত রুম টা নিতে পারো কিনা দেখো! সকাল থেকে জার্নি করে খুব টায়ার্ড লাগছে।




এরপর একটা হোটেলে গিয়ে স্বামী স্ত্রীর জায়গায় আমার আর ফারজানার নাম লিখে রুম টা নিয়ে নিলাম। ঈদের ছুটি শেষের দিকে তাই হোটেল রুম খালি হয়ে যাচ্ছে সেজন্য এই হোটেলে তেমন কিছু চায় নাই।




যে রুম টা আমরা নিছি সেটাতে দুইটা খাট, একটা তে আমি আর একটা তে ফারজানা। সারাদিন তেমন কিছু না খাওয়ার জন্য প্রচন্ড ক্ষুদা লেগেছে। ফারজানা কে বললাম রেডী হয়ে নিতে খেতে যাবো কিন্তুু ফারজানা আর বের হতে চাইলো না।




সে বলল- ভাইয়া তুমি কিছু নিয়ে আসো আমার খুব ক্লান্ত লাগছে।




আমি বাথরুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে নিলাম তারপর ফারজানা কে বললাম ফ্রেশ হয়ে নিতে। আমি খাবার আনতে গেলাম, খাবার নিয়ে এসে দেখি ফারজানা ঘুমিয়ে গেছে। তাকে আবার ডেকে তুললাম তারপর দুজন খেয়ে নিলাম।




ফারজানা বলল- ভাইয়া আগামী কাল আমাকে কোথায় বেড়াতে নিয়ে যাবে?




আমি বললাম- দেখি কোথায় যাওয়া যায়!




এই বলে শুয়ে পড়লাম, খুবই টায়ার্ড লাগছিলো, ফারজানাও ঘুমিয়ে গেছে।




রাতে ঘুম ভাঙ্গলে উঠে আমি বাথরুমে গেলাম। বাথরুমে ঢুকেই দেখি ফারজানার জামা কাপড় সব স্ট্যান্ডে রাখা। আমি আবারো বোনের জামা কাপড় ঘেঁটে দেখলাম। আজ দেখি একটা গোলাপী ব্রা*! ব্রা*টা সেদিনের চেয়ে আজ বেশী ঘামে ভেজা মনে হলো। ব্রা*টা থেকে ফারজানার গায়ের গন্ধ আসছিলো।




সেই গন্ধে আবারো আমার ধ*ন ফুলে গেছে। ব্রা*টা ধ*নের মধ্যে ঘষে ঘষে ধ*ন খেঁচা শুরু করে দিলাম। কতক্ষন পর মা*ল আউট করে আবার খাটে এসে শুয়ে পড়লাম।




ফারাজানা একটা জামা পড়ে আমার পাশের খাটে শুয়ে আছে। আমি ফারজানা কে ভাল করে দেখলাম, তারা পা*ছা টা একদম গোল, দু*ধ গুলো জামা ফেটে বের হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।




ফারজানা কে দেখতে দেখতেই এক সময় ঘুমিয়ে পড়লাম।




পরদিন সকালে ফারজানা ঘুম থেকে ডেকে দিলো, ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেতে যাওয়ার জন্য বের হবো এমন সময় দেখি ফারজানা শুধু থ্রী পিস পরে বের হয়ে গেলো!




আমি বললাম- কিরে বোন তুই বোরখা পরিস নাই কেনো?




তখন ফারজানা হেসে বলল- ভাইয়া এখন আর কেউ কোনো সন্দেহ করবে না, কিছু জানতেও চাইবে না, আর এখানে তো আমাদের কেউ চিনেনা তাই বোরখা না পরলে কোনো সমস্যা হবে না আর সবাই আমাকে তোমার বৌ মনে করবে।




এই বলে ফারজানা হাসতে লাগলো।




আমি বললাম- দূর বলিস কি এসব!




এরপর দুজনে হাসতে লাগলাম।




তারপর নাস্তা করে একটা জায়গায় ঘুরতে গেলাম, জায়গা টাতে গিয়ে ফারজানা অনেক খুশী কারন সে প্রথম কোনো সুন্দর জায়গায় ঘুরতে আসছে।




এরপর আমরা বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে ঘুরলাম এবং ফারজানা আর আমি কিছু ছবি তুললাম। তখন একটি নোকিয়া মোবাইল ছিলো আমার, মোবাইল টাতে ভাল ছবি উঠতো।




এরপর দুপুরের খাবার খেয়ে একেবারে রুমে চলে আসলাম।




রুমে এসে কিছুক্ষন বিশ্রাম নিলাম, আমি ঘুমিয়ে পড়লে ফারজানা আমাকে ডেকে দেয়।




আমাকে সে জিজ্ঞাসা করে- ভাইয়া শাড়ী তো নিছি একটা কিন্তুু এখন দেখি এখানে শাড়ী দুইটা, এই লাল শাড়ীটা এখানে আসলো কিভাবে?




আমি তখন ফারজানা কে বললাম- আমি তোকে বলতে ভুলে গেছি, তুই যখন অন্য দোকানে গিয়ে কেনাকাটা করছিলি তখন আমি শাড়ীর দোকানে বসে ছিলাম, দোকানদার আমাকে বলে ভাই আপনাকে আর একটা শাড়ী দেখাই শাড়ী টা আপনি ভাবী কে গিফট করিয়েন দেখবেন ভাবী খুব খুশী হবে। আমি অনেক না করেছি কিন্তুু দোকানদার টা জোড় করে শাড়ীটা দিছে।




ফারজানা শুনেই হাসতে লাগলো আর বলল- ভাইয়া ঠিক আছে শাড়ীটা তুমি তোমার বৌ এর জন্য রেখে দাও বিয়ের পর ভাবীকে গিফট করিও ভাবী তখন খুশী হবে, এমন শাড়ী গুলো নতুন বৌ রা পড়ে, শাড়ীটা কিন্তুু সুন্দর আছে ভাইয়া ভাবীর জন্য রেখে দিও।




ফারজানা আরো বলল- ভাইয়া কোথাও ঘুরতে যাবেনা?




আমি বললাম- কিছু সুন্দর জায়গা আছে সেগুলা এখান থেকে অনেক দূরে, সেখানে তো যাওয়া সম্ভব নয়।




তারপর ফারজানা বলে- ভাইয়া কাল তো চলে যেতে হবে, এতো সুন্দর জায়গা ইচ্ছে করছে আরো কয়দিন এখানে থেকে যাই।




এরপর আমি ফারজানা কে বললাম রেডী হতে, কাছে একটা লেক আছে সেখানে ঘুরতে যাবো।




ফারজানা কিছুক্ষন পর একটা সবুজ রঙের শাড়ী এলোমেলো ভাবে পরে বাথরুম থেকে বের হলো, বের হয়েই বলে- ভাইয়া শাড়ীর কুচি ধরে দাও না! শাড়ী টা পড়তে পারছিনা।




আমি উঠে তাকে কুচি ধরে দিলাম, সে দেখি আবার সাজতে বসলো আর আমাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করল- ভাইয়া আমাকে কেমন লাগছে?




আমি খেয়াল করে দেখলাম ফারজানা কে খুব সুন্দর লাগছে। ফারজানা কে সববসময় বোরখা পরা এমনি কি ঘরেও পর্দাসহ দেখেছি, আজ প্রথম শাড়ী পরা দেখে তাকে খুব সুন্দর লাগছে।




আমি কিছু বলছিনা দেখে ফারজান নিজেই আবার বলল- ভাইয়া এই প্রথম বোরখা ছাড়া বাইরে যাচ্ছি তাও আবার শাড়ী পরে।




আমরা হোটেল থেকে বের হওয়ার সময় চাবি জমা দিতে গেলাম ফারজানা পাশে দাঁড়ানো। হোটেলের ম্যানেজার ফারজানা কে ভাবী ডেকে সালাম দিলো আর জিজ্ঞাসা করলো কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা। ফারজানা উত্তর দিলো আপনার ভাইয়া আছে সাথে কোনো সমস্যা হচ্ছেনা।




এই বলে হেসে আমাকে বলল- এই তুমি কি এখানে দাঁড়াই থাকবে নাকি? আসো দেরী হয়ে যাচ্ছে।




আমি কিছু না বলে ফারজানার সাথে হেঁটে হোটেল থেকে বের হলাম।হোটেলের ম্যানেজারকে চাবি দিয়ে তার সাথে কথা শেষ করে আমরা হোটেল থেকে বের হই।




বের হয়ে হাঁটতে হাঁটতে আমি ফারজানাকে বলি- কিরে ফারজানা তুই ম্যানেজার কে এভাবে বললি কেনো?




ফারজানা বলল- ভাইয়া তুমি কিছু বুঝনা নাকি? ভাই-বোন একটা রুমে থাকতেছে সেটা জানতে পারলে কি হবে বুঝতে পারছো?




আমি ব্যপারটা বুঝে বলি- হ্যাঁ রে বোন অনেক ঝামেলা হয়ে যাবে।




ফারজানা আবার বলল- জানো ভাইয়া, মানুষ জন যে আমাকে ভাবী ডাকছে সেটা কিন্তুু একদিকে ভালই লাগছে!




আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করি- কেনো রে বোন?




ফারজানা বলে- কারন আমি নিশ্চিন্তে তোমার সাথে ঘুরতে পারছি, কোনো ভয় নেই এখানে। জানো ভাইয়া তুমি তো ঘরে থাকোনা আম্মা আব্বা আমাকে খুব চাপে রাখে, আমাকে কোথাও যেতে দেয় না!




আমি শুনে বলি- আচ্ছা কোনো সমস্যা নেই এখন অন্তত আনন্দ কর।




কিছুক্ষন পর আমরা লেকের পাড়ে চলে আসলাম। লেকের পাড়ে কিছু ছোট প্যাডেল বোট আছে। ফারজানা বোটে চড়তে চাইলো, আমি আর ফারজানা একটা বোট নিয়ে দুজনে চালালাম। ফারজানা শাড়ী পরার কারনে ভাল মতো প্যাডেল চালাতে পারছিলো না।




ফারজানা তখন বিরক্ত হয়ে বলে, সে আর শাড়ী পরবে না, শাড়ী পরলে নাকি অনেক ঝামেলা। বোট থেকে নামার সময় দেখি দুই একজন লোক ফারজানার দিকে তাকিয়ে আছে। দু একবার খেয়াল করলাম যে তারা বারবার ফারজানার দিকে তাকাচ্ছে। হঠাৎ আমিও খেয়াল করলাম যে ফারজানার ব্লাউস টা ঠিক মতো পরেনি, ব্লাউসের পিছন দিকে ব্রা*র ফিতা গুলা দেখা যাচ্ছে।




এখন সেটা আমার ফারজানা কে বলতে লজ্জাও করছে, শত হলেও তো ছোট বোন হুট করে তো এসব বলা যায়না।




সেবার ঈদ ছিলো একদম বর্ষা কালে। পাহাড়ে এমনিতেও বৃষ্টি লেগে থাকে। একটু পর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পরা শুরু হলে আমি আর ফারজানা লেকের পাড়ে কিছু ছাউনী আছে সেখানে গিয়ে দাঁড়ালাম। এদিকে ফারজানার কোনো খেয়াল নেই যে তার ব্রা* দেখা যাচ্ছে।




যেহেতু মানুষজন দেখবে তাই ফারজানা কে বলতে বাধ্য হলাম।




আমি বললাম- বোন তোর ব্লাউজ টা ঠিক কর।




ফারজানা ভ্রুঁ কুচকে জিজ্ঞেস করল- কেনো ভাইয়া কি হয়েছে?




আমি বলি- আরে তোকে ঠিক করতে বলছি ঠিক কর।




ফারজানা দেখি শুধু ব্লাউস টা একটু টেনে দিলো উপরে।




এই দেখে আমি বললাম- এই কি করিস? তোকে কি ঠিক করতে বলছি বুঝস না?




ফারজানা হকচকিয়ে মলিন মুখে বলে- ভাইয়া কি ঠিক করতাম সেটা তো বলো?




আমি আমতা আমতা করে বলি- তুই ব্লাউসের ভিতরে যেটা পরছস সেটা দেখা যাচ্ছে, সেটা ঠিক কর।




ফারজানা চমকে উঠে বলে- তার মানে কি ভাইয়া আমার ব্রা* দেখা যাচ্ছে নাকি?




আমি বলি- হ্যাঁ, সেটা ঠিক কর।




ফারজানা বলল- ভাইয়া দোকান থেকে কেনা রেডীমেট ব্লাউস তাই পরার সাথে সাথে লুজ হয়ে গেছে, রেডীমেট ব্লাউস পরা যায়না, দেখতো এখন দেখা যাচ্ছে কিনা?




আমি দেখে বলি- হ্যাঁ রে এখনো দেখা যাচ্ছে।




ফারজানা তখন বলল- আমার সেফটি পিন ছিলো না ভাইয়া তাই ঠিক করে পরতে পারিনি। তুমি এক কাজ করো, ফিতা গুলা ব্লাউসের কাপড়ের মধ্য টেনে দাও।




ছোট বোনের একথা শুনে আমি লজ্জা পেয়ে যাই, আমি বলি- দূর কি বলিস আমি পারবোনা, তুই কর।




ফারজানা বলে- ভাইয়া আমি পারলে তো আর তোমাকে করে দিতে বলতাম না, আচ্ছা ঠিক আছে দিওনা মানুষ দেখুক!





বোনের একথা শুনে বলি- আচ্ছা দাঁড়া করে দিচ্ছি।




এই বলে আমি ফারজানার ব্রা*টা ঠিক করে দেই।




ফারজানা বলে- হ্যাঁ ভাইয়া এখন ঠিক আছে তো?




আমি বলি- হ্যাঁ বোন ঠিক আছে।




ফারজানা হঠাৎ জিজ্ঞেস করে- ভাইয়া তুমি এতো লজ্জা পাচ্ছো কেনো? এখানে তো সবাই বুঝতেছে আমরা স্বামী স্ত্রী, তাই তোমার থেকে সব ঠিক করে দিতে হবে। হোটেল ম্যানেজার আমাকে ভাবী ডাকছে তখন তুমি হাসছো কেনো ভাইয়া?




আমি বলি- তুই আমার বোন তাই লজ্জা করে আর কি, তাছাড়া আমার তো কোনো প্রেমিকা নাই তাই এসব কথা শুনে হাসি তো পাবেই।




ফারজানা পাল্টা প্রশ্ন করে- ভাইয়া সত্যি তোমার কোনো প্রেমিকা নেই?


আমি বলি- নারে, আমি কখনো প্রেম করি নাই।




ফারজানা তখন বলে- জানো ভাইয়া সেদিন আমার যে বান্ধবী টা আসছে সে প্রেম করে, ও ওর প্রেমিকের সাথে দেখা করতে গেছে কিন্তু বাসায় বলেছে আমাদের বাসায় যাবে তাই আমাকে জোড় করে ওদের বাসায় নিয়ে গেছে।


বোনের কথা শুনে আমি বলি- এসব মেয়ে থেকে দূরে থাকিস আর খারাপ ছেলে দের সাথে কথা বলিস না।




ফারজানা তখন বলে উঠে- ভাইয়া তোমার মতো কোনো ছেলে পাইলে তখন প্রেম করবো এর আগে নয়।




ছোট বোনের মুখে এসব কথা শুনে আমি কিছুটা আনইজি হয়ে যাই। না পারছি বেশি কিছু বলতে আর না পারছি এসব শুনতে, এমন অবস্থা।




আমি ফারজানাকে বলি- তুই কিন্তুু অনেক কথা বলছিস ফারজানা!




ফারজানা হেসে বলে- হাহাহা, ভাইয়া তুমি রাগ করছো নাকি?




আমি বলি- নারে, চল আজ কে আমি তোর প্রেমিক।




ফারজানা আবার হেসে বলে- হাহা, ভাইয়া তুমি যে কি বলো না এসব! ঠিক আছে ভাইয়া তুমি যদি আমার প্রেমিক হও তাইলে একটা কাজ করতে হবে।




আমি অবাক চোখে জিজ্ঞেস করি- কি কাজ করতে হবে রে বোন?




ফারজানা বলে- ভাইয়া দেখো সন্ধ্যা হয়ে গেছে এদিকে কোনো মানুষ নেই, তুমি আমাকে কোলে করে সামনে নিয়ে যাবে!




বোনের কথা শুনে আমি বলি- যাহ, পাগলী এসব বলিস কি? কেউ যদি দেখে ফেলে? হুম আচ্ছা আয় তোকে কোলে নেই!




এই বলে আমি ফারজানা কে কোলে তুলে নিয়ে একটু হেঁটে সামনে আসলাম। ফারজানার হাসির জন্য আর পারলাম না, ফারজানা কোল থেকে নেমে দেখি আমার গালে একটা কিস করে দিলো আর বললো, ভাইয়া এটা আমার প্রেমিক কে দিছি, এই বলে আবার হাসা শুরু করলো।




হোটেলে যাওয়ার সময় একেবারে রাতের খাবার নিয়ে চলে গেলাম। এই হোটেল অবধি আসতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারনে দুজনে হালকা ভিজে গেছি। রুমে ঢুকেই ফারজানা নিজের শাড়ীর আঁচল দিয়ে দেখি আমার মাথা মুছে দিলো। আমি খাটে বসে টিভি ছাড়লাম আর ফারজানা দেখি আমার সামনে শাড়ী টা খুলে ব্লাউস আর পেটিকোট পরা অবস্থায় ই জিনিষ পত্র ঠিক করা শুর করলো।




আমি ফারজানা কে ভালভাবে দেখছিলাম। ফারজানা একটু পরে আবার বাথরুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে বের হলো, ফারজানা বের হওয়ার সাথে সাথে আমি বাথরুমে গিয়ে তারা রাখা কাপড়ের মধ্যে থেকে ব্রা*টা নিয়েই ধ*ন খেঁচা শুরু করে দিলাম আর বোনের ব্রা*র গন্ধ নিতে নিতেই মা*ল আউট করে দিলাম।




বাথরুম থেকে বেরিয়ে দুজনেই টিভি দেখছিলাম, ঈদের অনুষ্টান চলছিলো টিভিতে। একটুপর ফারজানা উঠে ব্যাগ গুছাতে শুরু করলো। টিভিতে তখনকার এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর একটা নাটক দেখাচ্ছিলো।




ফারজানা বলতে লাগল- ভাইয়া এই অভিনেত্রী টার নাকি একটা খারাপ ভিডিও আছে, আমার বান্ধবীদের কাছ থেকে শুনেছি। ভাইয়া সেই ভিডিও টা কি তুমি দেখছো নাকি?




আমি বললাম- কি যা তা বলিস এসব ভিডিও আমি দেখি না!




ফারজানা তখন বলল- ভাইয়া তুমি তো এখানে আমার প্রেমিক আমাকে বলতে পারো।




বোনের কথা শুনে আমি বলি- তোকে বলে লাভ কি? তোর কি এসব দেখার শখ হয়েছে নাকি?




ফারজানা বলল- শখ থাকলেও তো ভাইয়া আমি দেখতে পারবোনা।




এই বলে ফারজানা নিজের ব্যাগ গুছিয়ে আমার ব্যাগ টাও গুছিয়ে দিলো এরপর দুজনে রাতের খাবার খেয়ে নিলাম। ফারজানা শুয়ে পড়েছে আর আমি টিভি দেখছিলাম।




তখনকার সময় যারা মোবাইল ব্যাবহার করতো তারা জানবে, তখন সবাই দুইটা মেমোরী কার্ড ইউজ করতো। একটা তে সব সাধারন জিনিষ রাখতো আর আরেক টাতে প*র্ন ভিডিও রাখতো। আমি টিভি বন্ধ করে মোবাইলে অন্য মেমোরী


 কার্ড টা ঢুকালাম আর ফারজানা কে ডাকলাম।


আমি- কিরে বোন ঘুমাই গেছিস নাকি?




ফারজানা- নারে ভাইয়া এখনো ঘুম আসেনি।




আমি বললাম- কাল তো চলে যাবো তার আগে তোর শখ টা পূরন হোক!




ফারজানা অবাক সুরে জিজ্ঞেস করল- কি শখ ভাইয়া?




আমি বলে ফেলি- ঐ অভিনেত্রীর ভিডিও টা দেখবি?




ফারজানা বলল- ভাইয়া সেটা কি তোমার কাছে আছে নাকি?




আমি বলি- হ্যাঁ, দেখলে আয়।




ফারজানা দেখি আমার খাটে এসে বসলো আর বলল- ভাইয়া এসব তুমি এখন কোথায় পেলে?




আমি বললাম- তোর দেখতে ইচ্ছে করছে তাই ইন্টারনেট থেকে নিলাম, এই নে তুই দেখ আর আমি টিভি দেখি।




ফারজানা বলল- আচ্ছা ভাইয়া মোবাইল টা আমাকে দাও।




তারপর আমি ফারজানাকে ফোনটা দিলাম।




কি ভেবে যেনো ফারজানা বলে উঠলো- এই ভাইয়া টিভি বন্ধ করে দাও।




আমি জিজ্ঞেস করলাম- কেনো রে?




ফারজানা জবার দিলো- ভাইয়া তুমি সহ দেখবে আসো।




ছোট বোনের একথা শুনে আমি বেশ অবাক এবং আনকমফোর্ট হয়ে গেলাম।




ফারজানা আর আমি পাশা পাশি শুয়ে ভিডিও টা দেখতে লাগলাম।




ফারজানা কিছুক্ষণ দেখার পর বলে এসব জিনিষ আমি দেখবো না, এটা শুনে আমি তার থেকে মোবাইল টা নিয়ে নিতে চাইলে সে বলে দাড়াও ভাইয়া আর একটু দেখি।




ফারজানা ভিডিও দেখছিলো আর হাসছিলো, একটু পর ফারজানা আবার আমাকে বলে দেখছো ভাইয়া এরা কি শুরু করছে? আমি ফারজানাকে কথা না বলে চুপচাপ দেখতে বললাম।




কিছুক্ষন পর আমি ডাকলাম- ফারজানা!




ফারজানা উত্তর নিলো- জ্বী ভাইয়া।




আমি জিজ্ঞেস করলাম- তোর ভিডিও টা দেখতে কেমন লাগছে?




ফারজানা বলল- ভাল লাগছে ভাইয়া।




আমি আবার বললাম- বোন তোকে একটা কথা বলবো রাখবি?




ফারজানা বলল- জ্বী ভাইয়া, তুমি বলো রাখবোনা কেনো!




কি ভেবে যেনো আমি বলে উঠি- তোকে একটা কিস করবো?




ফারজানা একটু চুপ থেকে বলল- আচ্ছা ভাইয়া করো।




আমি ফারজানার ঠোঁটে একটা কিস দিলাম, ফারজানা হাসতে লাগলো।




সে ভিডিও টা শেষ করে বলল- ভাইয়া ঘুমাই যাবো, ঘুম আসছে।




ফারজানা উঠে দাঁড়ানোর সাথে সাথে আমি ওর হাত টা ধরে ফেললাম আর বললাম- ফারজানা তোকে একটু বুকে জড়াই ধরি?




ফারজানা হেসে বলল- হাহাহা, আচ্ছা ভাইয়া ধরো।




আমি ফারজানা কে বুকে জড়াই ধরে ওর ঠোঁটে কিস করলাম। ফারজানাও আমাকে শক্ত করে জড়াই ধরে আছে। আমি ফারজানার দু*ধে হাত রাখলে ফারজানা আমার দিকে তাকিয়ে আবার হাসি দিলো।




আমি আস্তে আস্তে ফারজানার দু*ধ টিপছি আর ওর ঠোঁটে ঘাড়ে কিস দিচ্ছি, ফারজানাও আমাকে কিস দিচ্ছে।




কিছুক্ষন পর ফারজানা আমাকে সরিয়ে দিয়ে বলল- অনেক করছো ভাইয়া যাও ঘুমাও কাল সকালে উঠতে হবে।




তারপর আমরা যার যার বিছানায় ঘুমিয়ে পড়লাম।




পরদিন সকালে ফারজানা উঠে আমাকে ডেকে দিলো তারপর দুজন ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে হোটেল থেকে বের হয়ে গেলাম।




কাউন্টারে গিয়ে অনেকক্ষন বসে আছি, আমাদের মতো আরো অনেকে বসে আছে। কাউন্টার কতৃপক্ষ একবার বলছে গাড়ী চলবেনা, আরেক বার বলছে একটু পর চলবে। তখন জানতে পারলাম যে অবরোধ ডেকেছে সকাল বেলা।




ফারজানা কে বললাম- গাড়ী তো চলছেনা, কি করা যায়!




ফারজানা বলল- আবার হোটেলে চলে যাই তাহলে!




আমি বললাম- দেখ বোন এখান থেকে দূরে অনেক সুন্দর কয়েকটা জায়গা আছে, সেখান থেকে ঘুরে আসবি নাকি?






ফারজানা আবারো হাসি দিলো আর বলল- ভাইয়া তুমি না একদম, চলো সেখান থেকে ঘুরে আসি।




কাউন্টার থেকে বের হয়ে ফারজানা আবার একটা দোকানে ঢুকে কিসব কেনাকাটা করে নিলো তারপর আমরা একটা সিএনজি নিয়ে জায়গা টার উদ্দেশ্য যাওয়া শুরু করলাম। পাহাড়ী সৌন্দর্য্য দেখে ফারজানা খুব খুশী, সে খুশীতে বারবার আমাকে জড়িয়ে ধরছে।




প্রায় ঘন্টা দুয়েক পর আমরা সে জায়গা টাতে পৌঁছে গেলাম। এরপর আমরা আবার রুম খুজতে লাগলাম, এখানে হোটেল নেই যা আছে সব আদিবাসীদের ঘরের মতো। কয়েক জায়গায় কথা বলে দেখলাম সবাই খুব দাম বলছে। তাদের কথা এখানে দাম দিয়েই নিতে হবে তবে দাম অনুযায়ী ঘর গুলা সুন্দর লাগছেনা।




খুজতে খুজতে একটু পাহাড়ের উপর গিয়ে দেখি খুব সুন্দর কয়েকটা ঘর। ঘর গুলো এতো সুন্দর লাগছে টাকা বেশী নিলেও সেখানে থাকার ইচ্ছে হলো তাই দেরি না করে ঝটপট একটা রুম নিয়ে নিলাম। ঘর গুলো খুব সুন্দর, সামনে বাগান বাইরে গেইট আছে, মোটামুটি সেইফ। এর নিচে মালিকের ঘর। খাবার মালিকের থেকে নেওয়ার ব্যবস্থা আছে, তিনি খুব ভাল মানুষ, মালিক আমাদের ঘর বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেলো।




আজ চারদিন পর আব্বারা ইন্ডিয়া থেকে কল দিছে। আম্মা প্রথমে আমাকে বললো সেদিন নাকি আপাকে বলতে মনে ছিলোনা। আমাকে জিজ্ঞাসা করলো কোথায়? আমি বললাম আম্মা চিন্তা করতে হবেনা, আমি আর ফারজানা বাসায় আছি, আমার ভার্সিটি খুলতে দেরী আছে তাই তাদের নিশ্চিন্ত থাকতে বললাম।




এরপর ফারজানার সাথে কথা বলে রেখে দিলো, ফারজানা আম্মার সাথে কথা বলার সময় ভয় পাচ্ছিলো তা নিয়ে হাসাহাসি করলাম এরপর আমি আর ফারজানা ফ্রেশ হয়ে নিলাম।




ঘরের মালিক সে দুপুরের খাবার দিয়ে গেলো। খাবার খেয়ে দুজনে একটু বিশ্রাম নিলাম তারপর বাইরে থেকে ঘুরে এলাম।




ফারজানা তো মহাখুশী।




এরপর সন্ধ্যা হতেই রুমের মালিক বলে গেলো তাড়াতাড়ি খাবার টা নিতে যেতে, এরা নাকি তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যায়।




খাবার আনতে যাবো এমন সময় ফারজানা ডাকলো- ভাইয়া?




আমি বলি- জ্বী কিছু বলবি?




ফারজানা বলল- তোমার মোবাইল টা আমাকে দাও তো!




আমি প্রশ্ন করি- কেনো?




ফারজানা বিরক্ত ভঙ্গিতে বলে উঠে- উফফ ভাইয়া তুমি বেশী কথা বলো, বুঝনা কেনো? ভিডিও দেখবো।




আমি বোনের কথায় হেসে ফেলি আর বলি- হাহাহা, তাই নাকি রে বোন! ধর নে মোবাইল।




ফারজান মোবাইলটা নিয়ে নেয় আর বলে- ভাইয়া তুমি যাও ঘুরো বাইরে, আর রাতের খাবার নিয়ে আসিও।




আমি বলি- আচ্ছা।




এই বলে আমি ঘর থেকে বের হই।




ফারজানা কে রুমে রেখে আমি ঘরের মালিকের বাড়ি গিয়ে তাদের সাথে অনেকক্ষন কথা বললাম, তাদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম এরপর খাবার নিয়ে এসে গেইট টা বন্ধ করে ফারজানা কে ডাকলাম।




ফারজানা আমাকে বাইরে থাকতে বললো, বেশ কিছুক্ষন পর সে দরজা খুলে দিলো, আমি দেখলাম ফারজানা লাল শাড়ী টা পড়ে একদম সুন্দর করে সেজে আছে।




ফারজানা আমাকে জিজ্ঞেস করল- ভাইয়া আমাকে কেমন লাগছে সেটা তো বললে না?




আমি বললাম- তোকে অনেক বেশী সুন্দর লাগছে বোন, তুই না বলছিলি শাড়ী টা আমার বৌ এর জন্য রেখে দিতে?




ফারজানা মুচকি হেসে বলল- ভাইয়া এখানে যেহেতু আমাকে সবাই তোমার বৌ মনে করছে তাই এটা আমি পরতেই পারি!




বোনের কথা শুনে আমি বলি- কিন্তুু ফারজানা তুই তো আমার বৌ না।




ফারজানা বলে বসে- আমাকে তোমার বৌ করে নাওনা ভাইয়া!




আমি বলি- কিভাবে নিবো রে? তুই যে আমার বোন!




ফারজানা বলে- তাতে কি ভাইয়া, এখানে যতদিন আছি ততদিন তোমার বৌ থাকবো আর কি!




তখন আমি ফারজানা কে বললাম- চল বোন দুজনে একটা কাবিননামা বানিয়ে নিই তারপর তোকে বৌ করে নিবো।




ফারজানা এটা শুনে হাসতে লাগলো আর বলল- ভাইয়া আমাকে দেনমোহর কত দিবে?




এই বলে ফারজানা নিজেই ব্যাগ থেকে কাগজ আর কলম এনে আমাকে দিলো। আমি নিকাহনামার মতো করে লেখা শুরু করলাম। ফারজানা আর আমার নাম ঠিকানা সহ আরো কিছু লিখে কাবিন নামার মতো করে বানালাম।




ফারজানা আবার বলল- ভাইয়া দেনমোহর কতো দিবে?




আমি বলছি পাঁচশো, ফারজানা বলে না এক হাজার দিতে হবে।




ফারজানা আমার কাছ থেকে একহাজার টাকা নিয়ে নিলো, তারপর কাবিন নামায় দুজনে বর কনের জায়গাতে সাক্ষর করে দিলাম। ফারজানা আর আমি হাসতেই আছি। এদিকে বাইরের বৃষ্টির শব্দ যেনো আমাদের হাসির সাথে মিলে যাচ্ছে।




আমি ফারজানাকে জিজ্ঞেস করি- আচ্ছা ফারজানা তুই কি আমার বৌ নাকি বোন?




ফারজানা জবাব দেয়- ভাইয়া এখন আমি তোমার 'বৌন' বুঝেছো? বোন হলাম বাসায়, এখানে আমি তোমার বৌ।




তখন আমি বলি- তা বৌ হলে কি করতে হয় জানিস তো?




ফারজানা লজ্জা পেয়ে বলে- ভাইয়া আমি সব জানি, আমাকে শিখাতে হবেনা!




আমি হেসে বলি- হাহাহা, তাই নাকি রে বোন?




ফারজানা বলে- জ্বী ভাইয়া।




পরে আমি বলি- আচ্ছা চল খেয়ে নিই।




ফারজানা বলে- ভাইয়া খেতে ইচ্ছে করছে না।




আমি আবার বলি- আরে আয় তো দুজন অল্প করে খেয়ে নিই।




ফারজানা আর আমি একজন আরেক জনকে খাইয়ে দিচ্ছি। কোনো রকমকমে খাওয়া শেষ করে ফারজানা আমাকে বাইরে যেতে বললো, সে না ডাকা অবধি ঘরে ঢুকতে নিষেধ করলো।




আমি বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করছিলাম কতক্ষন পর ফারজানা ডাকলে আমি ঘরে ঢুকে দরজা টা বন্ধ করে ফারজানার কাছে গেলাম, গিয়ে দেখি ফারজানা ফুল দিয়ে সুন্দর করে খাট টা সাজিয়েছে।




বুঝতে বাকী রইলো না, আমি খাবার আনতে গেলে ফারজানা বাগান থেকে ফুল গুলো নিয়ে রেখেছে। ফারজানা খাটের উপর ঘোমটা টেনে একদম বৌ এর মতো করে বসে আছে। আমি ঘোমটা সরাতেই ফারজানা হাসা শুরু করলো তারপর আমাকে উঠে এসে সালাম করলো, আমি ফারজানাকে জড়িয়ে ধরলাম।




জড়িয়ে ধরেই জিজ্ঞেস করলাম- কিরে বোন তুই এতসব কোথায় পেলি সাজার জন্য?




ফারজানা বলল- ভাইয়া এখানে আসার আগেই কসমেটিকস এর দোকান থেকে কিনছি।




আবার জিজ্ঞেস করি- এত সব কিনলি কেনো?




ফারজানা তখন বলল- জানো ভাইয়া গতরাত থেকেই ইচ্ছে করছে তোমার বৌ হই! মানুষ এমনেতেই আমাকে তোমার বৌ মনে করতেছে তাই সত্যিকারের বৌ হলাম।




ফারজানার একথা শুনে আমি বলে ফেলি- বোন তোকে যে খুব আদর করতে ইচ্ছে করছে রে!




ফারজানা বলে- ভাইয়া আমি তো চাই তুমি আমাকে আদর করো।




নিজের আপন ছোট বোন যে এখন আমার বউ, বউয়ের মুখে এ কথা শুনে আমি ওকে আরো শক্ত করে বুকে টেনে নিলাম ফারজানাও আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।




আমি ফারজানার কানের কাছে মুখ নিয়ে ডাকলাম- ফারজানা!




ফারজানাও নিজের মুখ আমার কানের কাছে নিয়ে বলল- ভাইয়া রে!




ফারজানার মুখে ভাইয়া রে কথাটা শুনে জানিনা কেনো আমার উত্তেজনা বেড়ে গেলো, আমি ফারজানাকে চুমু দিলাম আর ফারজানা


ও আমাকে চুমু দিলো।


– উম্মাহহহহহহহ!– উম্মাহহহহহহহ!




আমরা একে অপরের ঠোঁটে কিস করতে লাগলাম, ফারজানার ঠোঁট গুলা আমি চুষে চুষে খাচ্ছি। ফারজানা কে নিয়ে আমি খাটে শুয়ে গেলাম, আমি ফারজানার দু*ধ গুলো টিপে টিপে কিস করছি। বাইরে বৃষ্টি পড়ছে আমি আর ফারজানা একে অপর কে কিস করতেছি।




আমি ফারজানার শাড়ী টা খুলে দিলাম আর আমার শার্ট টা খুলে ফেললাম। ব্লাউসের উপরে ফারজানার দু*ধ গুলো জোরে জোরে টিপতেই আছি।




ফারজানা একটু পরপর বলে- ভাইয়া ব্যাথা পাচ্ছি আস্তে টিপো, ভাইয়া আস্তে, আহহ ভাইয়া দু*ধে ব্যাথা পাচ্ছি।




আমি ডাকলাম- ফারজানা!




ফারজানা বলল- হুম ভাইয়া বলো।




আমি বললাম- আমাকে তোর দু*ধ খেতে দিবি?




শুনে ফারজানা বলল- ওহহ ভাইয়া এসব কি বলতে হয় নাকি?




এই বলে ফারজানা নিজেই ব্লাউস খুলে দিলো। আমি ব্রা*র ভিতর থেকে দু*ধ বের করে চুষতে থাকলাম। আমি ফারজানার দু*ধ টা চুষতেছি জোরে জোরে আর ফারজানা শুধু আহহ উহহ আহহহ উহহহ করতেছে, আর আমার মাথা টা দু*ধের মধ্যে চেপে ধরতেসে।




আমি ফারজানার একটা দু*ধ চুষছি আর অন্য টা টিপছি, টিপে টিপে বোনের দু*ধ খাচ্ছি। ফারজানা শুধু বলছে আহ ভাইয়া আস্তে খাও।




একটু পর ফারজানা উঠে বসলো, আর আমাকে বলল- তুমি আমাকে ব্যাথা দিচ্ছ কেনো ভাইয়া?




আমি বলি- বোন কোনদিন তো আর এসব পাইনি তাই তোকে একটু কষ্ট দিচ্ছি! সরি।




হঠাৎ ফারজানা আমার ধ*ন টা ধরে বলল- ভাইয়া এটা এমন হয়ে আছে কেনো?




আমি বললাম- তুই ওটা কে আদর করছিস না তাই!




এটা শুনে ফারজানা বলল- তাই নাকি!




এই বলে সাথে সাথে ফারজানা আমার ধ*ন টা বের করে হাত বুলাতে লাগলো আর বলল- ভাইয়া এতবড় জিনিষ তো আমি নিতে পারবোনা!




এই বলেই ফারজানা হাসতে লাগলো।




আমি বললাম- বোন ধ*ন টা একটু মুখে নে না!




ফারজানা বলল- যাহ ভাইয়া এসব আমি পারবো না আমার ঘৃনা লাগে!




আমি বললাম- কেনো রে? আচ্ছা থাক নিতে হবেনা।




ফারজানা তখন বলল- ভাইয়া রাগ করছো কেনো? এমন সুন্দর ধ*ন না নিলে হয়!




আমি তখন বলি- আচ্ছা ফারজানা তুই এসব জানলি কেমন করে?




ফারজানা বলল- আমার অনেক বান্ধবী এসব করেছে ভাইয়া, তারা আমাকে বলে যে আমি নাকি এসবের মজা বুঝবোনা, আর ভিডিও তে দেখেছি ভাইয়া।




আমি- ওহ তাই নাকি রে দুষ্ট?




ফারজানা- জ্বী ভাইয়া।




এই বলে হাঁটু গেঁড়ে বসে ফারজানা আমার ধ*ন টা মুখে নিয়ে একটু একটু চুষছে।




আমি বললাম- বোন ভালো করে দে আহহহ।




তখন ফারজানা ধ*ন টা উমমম উমমম করে চোষা শুরু করলো। কিছুক্ষন পর ফারজানা শুয়ে পরলো আর আমি ওর গা থেকে সব কাপড় খুলে দিলাম, আমি নিজেও আমার সব খুলে ফেললাম। দুজন দুজন কে জড়িয়ে ধরে আবার কিস করা শুরু করলাম।




আমি ফারজানার ভো*দায় হাত দিতেই ফারজানা কেঁপে উঠলো আর বলল- ভাইয়া ব্যাথা পাবো!


আমি ওর ভো*দায় একটা আঙ্গুল ঢুকানোর সাথে সাথে ও কেঁদে উঠলো, আমি দেখলাম র*ক্ত পরছে, পরে আমি ফারজানার ভো*দা পরিস্কার করে মুছে দিলাম।




ফারজানা বলল- ভাইয়া তুমি এমন কেনো?




আমি বললাম- সরি বোন, আর ব্যাথা দিবো না।




ফারজানা বলল- ভাইয়া তুমি বুঝনা, প্রথমে আস্তে আস্তে করতে হবে তো।




আমি তখন বলি- আচ্ছা বোন কাজ টা কি ভালো করছি আমরা? এসব করা কি উচিত হচ্ছে?




ফারজানা বলে- ভাইয়া এসব ভেবে আর লাভ নেই, যা হওয়ার তা তো হবেই, এখান থেকে চলে গেলে এসব তো আর হবেনা!




আমি বলি- কিন্তুু আমরা ভাইবোন এসব করছি যদি কখনো কেউ জানতে পারে কি হবে?




ফারজানা বলে- ভাইয়া তুমি এসব নিয়ে ভেবো না, তুমি আর আমি ছাড়া কেউ কখনো জানবে না।




বোনের কথা শুনে আমি বলি- তাই যেনো হয় বোন, যদি কেউ জানে তখন আম্মা আব্বা আর মুখ দেখাতে পারবেনা।




ফারজানা বলল- ভাইয়া কেউ জানতে পারবে না, আমি এখন তোমার বৌ সেটা মনে করো।




আমি আবার জিজ্ঞেস করি- আচ্ছা ফারজানা তুই হঠাৎ এমন হয়ে গেলি কেনো? বাসায় তো একদম কথাও বলিস না!




ফারজানা বলল- ভাইয়া আমি বান্ধবীদের সাথে অনেক দুষ্টামি করি কিন্তুু বাসায় আব্বার ভয়ে চুপ থাকি।




আমি তখন বলি- তোর কি আমার সাথে এসব করতে ভালো লাগছে?




ফারজানা বলল- ভালো না লাগলে কি আর করতাম ভাইয়া? তোমার ভালো লাগছেনা বুঝি?




আমি বলি- নারে বোন, আমার খুব ভালো লাগছে।




ফারজানা আমাকে জড়িয়ে ধরে কিস করতে লাগলো আর বলে উঠল- ভাইয়া তোমার বোন কে চু*দবে না?




আমি ফারজানার মুখ থেকে এমন কথা শুনে আরো উত্তেজিত হয়ে গেলাম। ফারজানা আমাকে কন*ডম বের করে দিলো।




ফারজানা বলল- কসমেটিকসের দোকান থেকে কিনে নিয়েছিলাম যাতে কোনো ঝামেলা না হয়।




আমি ক*নডম টা পরে ফারজানার ভো*দায় ধ*নটা লাগিয়ে দিলাম চাপ, ফারজানা আহহহ ভাইয়া আস্তে করো উহহহ আস্তে বলে চেঁচিয়ে উঠলো।




আমি ফারজানার ঠোঁটে কিস করে তাকে চু*দতে থাকলাম। ফারজানা শুধু আহহহ, উহহহ, উহহহ, আহহহহ ভাইয়া আস্তে, ভাইয়া আস্তে আহহহ উহহহ করতে লাগলো।




আমি ফারজানার দু*ধ চুষে চুষে চু*দতে থাকলাম। ফারজানা আহহ আহ আহহ উহহহ করতেছে আর বলছে, ভাইয়া তোমার বোন কে চু*দো ভাইয়া, আস্তে চু*দো ভাইয়া।




আমিও বলছি, আহহ বোন তোকে চু*দে চু*দে মজা দিবো আহহ, আমার লক্ষি বোন টা উমমম! আমি ফারজানাকে কিস করতে করতে চু*দছি। ফারজানা তার দু*ধ আমার মুখে ধরে আছে।




ফারজানা আহহ উহহহ করছে আর বলছে- ভাইয়া জোরে জোরে চু*দো, জোরে চু*দো ভাইয়া! ভাইয়া আহহহ উহহহ! ভাইয়া অনেক মজা লাগছে!




আমি বলছি- বোন তোকে চু*দে এতো মজা পাবো বুৃঝতে পারিনি! ওহহহ বোন তুই একটা জিনিষ!




ফারজানা আমাকে জড়িয়ে ধরে আহহহ আহহহ করছে আর একসময় আমার মা*ল আউট হয়ে গেলো।




এরপর ফারজানা আমি একে অপরকে জড়িয়ে ধরে এভাবেই ঘুমিয়ে গেলাম, সকালে উঠে ফ্রেশ হয়ে আবার দুজনে চু*দাচু*দি করলাম।




এভাবে দুদিনে আরো অনেকবার চু*দেছি ফারজানা কে।




*********


এরপর আমরা আবার বাসায় চলে এলাম। বাসায় এসেও ফারজানাকে আবারো চু*দলাম কতদিন, বাসায় আমরা স্বামী স্ত্রীর মতো যেখানে সেখানে চু*দাচু*দি করলাম। ফারাজানা এই কদিনে আগের চেয়ে অনেক সুন্দর হয়ে গেছে।




প্রায় দশ বারো দিন পর আব্বারা ইন্ডিয়া থেকে চলে এলো, আমিও আবার আগের মতো ভার্সিটি তে চলে আসলাম।




চার পাঁচ বছর পর ফারজানার বিয়ে হয়ে গেলো, খুব ভালো জায়গাতে ফারজানার বিয়ে হয়েছে। আমিও বিয়ে করেছি অনেক দিন হলো। এখন চাকরী করছি, প্রায় দু তিন মাস ধরে ঘরে বসে আছি বের হতে পারছিনা, কোথাও যাওয়া হচ্ছেনা।




আমার নিজের বৌ কে নিয়ে এখনো কোথাও বেড়াতে যায়নি। ভাবছি বৌ কে নিয়ে আবার সেই জায়গাতে একবার বেড়াতে যাবো, যেখানে ফারজানা আমার বোন থেকে বৌন হয়েছিলো